চকরিয়া অফিস:
চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হাসেঁরদিঘী এলাকার জাইরিয়া সুলতানা মুক্তাকে (১৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশি লোকজন। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালীমহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। ফলে নিহতের পরিবার এব্যাপারে চেষ্টা করেও আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের আড়াই মাইল রাঙ্গাঝিরি এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত মুক্ত ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হাসেঁরদিঘী এলাকার উকিল আহমদের মেয়ে। গত একবছর আগে সামাজিক ভাবে তার সাথে বিয়ে হয় রাঙ্গাঝিরি এলাকার আবু বক্করের ছেলে আবু হানিফের।
নিহতের পরিবার সদস্যরা জানান, বিয়ের পর স্বামী আবু হানিফ বেশ ক’মাস সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করলেও কয়েকমাস ধরে সে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ কারনে স্ত্রী মুক্তা তাকে বারবার বাঁধা দেয়। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামীর পরকিয়া প্রেমের ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে পাষন্ড স্বামী হানিফ স্ত্রী মুক্তাকে বেদম প্রহার করে। ঘটনার খবর পেয়ে মুক্তার বাবা উকিল আহমদ শ্বাশুড় বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শাররীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দিন রাতে মৃত্যু ঘটে মুক্তার।
মুক্তার পরিবার সদস্যরা জানান, ঘটনার পর কুমারী এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের চাপের কারনে তাঁরা বিনা ময়না তদন্তে মুক্তার লাশ দাফন করতে বাধ্য হয়। এমনকি এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিতে চেষ্টা করেও প্রভাবশালীদের চাপের মুখে তা করতে পারেনি।
মুক্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে শ্বাশুড়ি (হানিফের মা) কুলছুমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার পুত্রবধুর (মুক্তা) মৃত্যু হয়েছে হার্ট এ্যাটাকে। তাকে মারধরের প্রশ্নই উঠেনা।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দেওয়া হলে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
################
চকরিয়ায় অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার
চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ায় অপহরণ মামলার পলাতক আসামি আবু বক্কর ওরফে লালা বক্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকা থেকে মাতামুহুরী পুলিশ ফাঁিড়র আইসি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। আবু বক্কর ওই এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, লামা উপজেলার লাইনঝিরি এলাকার মোশারেফা বেগম নামের এক নারীকে ভাল চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেন। ওইসময় পাচারকারীদের আস্তানা থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে ওই নারী বাদি হয়ে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এক নম্বর আসামি আবু বক্কর। তিনি বলেন, লামা থানা পুলিশের ওয়ারেন্টমুলে শনিবার রাতে মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের আইসি কবির হোসেন অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটাস্থ বাড়ি বক্করকে গ্রেফতার করা হয়।
####################
পেকুয়ায় কেপিএলে ম্যাগপাই বয়েজ চ্যাম্পিয়ন
চকরিয়া অফিস:
পেকুয়ায় কাচারীমুড়া প্রিমিয়ার লীগ (কেপিএল) এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যাগপাই বয়েজ ক্লাব। গতকাল ৩১জানুয়ারি রবিবার কেপিএলের ফাইনালে তারা ইলাভেন ব্লাস্টার্ড ক্লাবকে ৩৪রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি লাভ করে। উত্তেজনাপুর্ণ ফাইনালে নির্ধারিত ১০ ওভারের খেলায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যাগপাই বয়েজ ক্লাব। তারা ৬ উইকেটে ১শত ৪রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১শত ৫রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করে ইলাভেন ব্লাষ্টার্ড ক্লাব। প্রতিপক্ষের বোলিং তোপে পড়ে তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭০রানে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। ফলে ৩৪রানে জয় লাভ করে ম্যাগপাই বয়েজ ক্লাব। খেলায় ম্যান অব দ্যা ফাইনাল বিবেচিত হয়েছেন ম্যাগপাই বয়েজের খেলোয়াড় মো.রিফাত। উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাচারীমুড়া স্পোটর্স মাঠে কেপিএল অনুষ্টিত হয়েছে। বিকেল ৩টায় অনুষ্টিত ফাইনালের আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে মাঠে গড়ায় ফাইনাল ম্যাচ। প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান, শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, প্রথম আলো’র চকরিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক এস.এম হানিফ, সমাজসেবক আবু ছিদ্দিক, ইউপি সদস্য জাহেরুল ইসলাম জাহেদ। আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান শাহেদুল ইসলাম টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরনী অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন। মহাসচিব তানজিমুল ইসলাম জিসান সঞ্চালনা করেন।
পাঠকের মতামত: